চাঁদপুর বাংলাদেশর অন্যতম নদী বন্দর ও বানিজ্যিক শহর। বৃটিশ শাসনামল থেকেই পাট ব্যবসায় এর বিশ্ব জোড়া সুনাম ছিল। শহরটিকে দু;ভাগ করে মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ডাকাতিয়া নদী। ডাকাতিয়ার উত্তর পাড়ে অবস্থিত নতুন বাজারের পরিচয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,অফিস আদালত,রেল ষ্টেশন নিয়ে। আর দক্ষিন পাড়ে অবস্থিত পুরান বাজারের জন্ম শিল্প ও ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে। আবহাওয়া জলবায়ু ও বৃষ্টিপাত।
‘‘চাঁদপুর ভরপুর জলে আর স্থলে
মাটির মানুষ আর সোনার ফলে’’।
চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষয়ে কিছু লিখিত হলে প্রথমে জেলার সাথে পরিচিত হতে হয়। চাঁদপুর জেলা হওয়ার পুর্বে মহকুমা ছিল। মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭৮ খ্রিঃ এবং জেলার মর্যাদা লাভ করে ১৯৮৪ খ্রিঃ।
চাঁদপুর সদর থানা প্রতিষ্ঠিত হয় ০১/০৩/১৮৭১ খ্রিঃ এবং উপজেলায় রূপ লাভ করে ১৫ ই ফেব্রম্নয়ারী ১৯৮৪ খ্রিঃ।
চাঁদপুর শহর সদর উপজেলায় অবস্থিত। চাঁদপুর কে এক সময় বলা হত গেইটওয়ে -টু-ইষ্টার্ন ইন্ডিয়া,চাঁদপুর বাংলাদেশর বৃহত্তম নদী বন্দর। এ উপজেলা পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়ায় ত্রি মোহনায় অবস্থিত। ডাকাতিয়া নদীর শাখায় চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের নানুপুর সস্নুইস গেইট অবস্থিত। উপজেলার মধ্য দিয়ে ডাকাতিয়া নদী প্রবাহিত। এ উপজেলায় একটি অংশ চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের মধ্যে অবস্থিত।
চাঁদপুরের ইতিহাস শত বছরের প্রাচীন ইতিহাস ,পদ্মা-মেঘনায় তান্ডবে এ উপজেলার অনেক ভৌগলিক পরিবর্তন হয়েছে।
‘‘চাঁদপুরের ’’ নামকরন নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ঐতিহাসিক জে.এন.সেন গুপ্তের মতে ‘‘চাঁদপুর’’ একসময় বিক্রমপুরের নামজাদা জমিদার চাঁদরায়ের জমিদারের অমর্ত্মভূক্ত ছিল। সে সুবাদে চাঁদরায়ের নামানুসারে ‘‘চাঁদপুর’’ নামকরন করা হয়। আবার কাহারো মতে স্থান আধ্যত্ন সাধক পুরম্নষ ও দরবেশ‘‘চাঁদ ফকিরের’’ নামে চাঁদপুর নামকরন করা হয়।
স্বাধিনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চাঁদপুর সদর উপজেলায় আদান অপরিসীম, চাঁদপুর শহর ৮ই ডিসেম্বর ১৯৭১ খ্রিঃ মুক্ত হয়। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষার্থে ট্রাকরোডে ‘‘মুক্তিসৌধ’’ রেলওয়ে লেকে বিজয় সত্মম্ভ ও কালীবাড়ী শাপলা চত্তরে ‘‘স্বাধিনতা সত্মম্ভ’’ স্থাপিত হয়। প্রতি বছর অত্যমত্ম আনন্দ পরিবেশে বিজয় উৎসব পালিত হয়।‘‘মুক্তি যুদ্ধে চাঁদপুর’’ পৃথক অধ্যায়ের বিসত্মারিত বর্ননা করা হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন রাজরাজেশ্বর সম্পূর্ন অংশ এবং ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের একটি অংশ মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS